ব্রাজিল কি ২০১৪ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত?

লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে

ব্রাজিল বিশ্বকাপ: ১০ সপ্তাহ বাকি

কাগজবিহীন ডকুমেন্ট কোম্পানি সাইনটেক-এ কাজ করার সময় আমি ব্রাজিল এবং আসন্ন বিশ্বকাপ সম্পর্কে সংবাদ নিবন্ধের সাথে পরিচিত হই। ১০ সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকায় এই আসর আয়োজনের জন্য দেশটির প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বস্তিতে অভিযান থেকে শুরু করে বিক্ষোভ এবং অসমাপ্ত স্টেডিয়াম, বিশ্বকাপ নির্বিঘ্নে হবে বলে মনে হয় না।

বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে রিও ডি জেনিরোর একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুই হাজারেরও বেশি সেনা। রিওর অন্যতম বিপজ্জনক বস্তি হিসেবে পরিচিত মেরে শান্তিটাউনের দখল টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত নয়, স্বীকার করল ফিফা

ব্রাজিল যে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত নয়, তা খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন ফিফা প্রধান। দুটি স্টেডিয়াম, সাও পাওলোর ইতাকেরাও এবং পোর্তো আলেগ্রেতে এস্তাদিও বেইরা রিও অসমাপ্ত রয়ে গেছে। সাইটে তিনটি মৃত্যুর কারণে ইটাকেরাওতে নির্মাণ বিলম্বিত হয়েছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক কারণ স্টেডিয়ামটিতে ১২ জুন ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের প্রতিবাদ

গুরুতর ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ব্রাজিলের মনোযোগের সুযোগ নিচ্ছে বিক্ষোভ ও সংগঠনগুলো। একটি উদাহরণ হল নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা, যা একটি সরকারী জরিপ দ্বারা উদ্ভূত হয়েছিল যা 65% উত্তরদাতারা বিশ্বাস করে যে মহিলারা তাদের দেহের খুব বেশি প্রদর্শন করে আক্রমণ করা উচিত। প্রচারটি উল্লেখযোগ্য মনোযোগ অর্জন করেছিল এবং এর পিছনে সাংবাদিক একটি জাতীয় সংবেদন হয়ে ওঠে।

শিশু পতিতাবৃত্তিও ব্রাজিলে এক উদ্বেগের বিষয় এবং সরকার বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যা দমন করতে হিমশিম খাচ্ছে। তারা কীভাবে শিশু নির্যাতনের প্রতিবেদন করতে হবে সে সম্পর্কে তথ্য সহ কিট বিতরণ শুরু করেছে এবং পতিতাদের কনডম ব্যবহারে উত্সাহিত করার জন্য একটি প্রচারণা শুরু করেছে।

এসব ঘটনা বিবেচনায় ব্রাজিল জুনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হবে কিনা তা অনিশ্চিত। তবে আমি আশা করি তারা এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং আমাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবে।